ইরান-পাকিস্তান হঠাৎ কেন পাল্টাপাল্টি সামরিক আক্রমণে জড়াল

Share:

Iran Pakistan conflict

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত। দুই প্রতিবেশীর সাধারণ শত্রু হলো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। দুই দেশের ভাষায় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ এই স্বাধীনতাকামীরা মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে। ছোটখাটো সংঘাত লেগেই আছে। কিন্তু এভাবে কেউ কাউকে না জানিয়ে প্রতিবেশীর ভূখণ্ডে আকাশ থেকে বোমা ফেলবে, এটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আর ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন পুরো মধ্যপ্রাচ্য অস্থির। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও।

অস্থির সীমান্তে একদিকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং অন্যদিকে ইরানের সিস্তান ও বেলুচেস্তান প্রদেশ। সীমান্তে বিশেষ করে অশান্ত বেলুচ অঞ্চলে দুই দেশই দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে। কিন্তু ‘সীমান্ত সন্ত্রাসী’ নির্মূল করার নামে একে অপরের আকাশসীমায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে হামলা চালানো খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা।

মধ্যপ্রাচ্যে এখন ইরানের মিত্র ও প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের অক্ষশক্তি’ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পটভূমিতে এই গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলি বাহিনী এবং মিত্র দেশগুলোর সম্পদের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ইরান ও পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে গেল।

ইরান-পাকিস্তানে যা ঘটল

অভূতপূর্ব এই ধারাবাহিক ঘটনার সূত্রপাত করেছে ইরান। কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা বা কূটনৈতিক বার্তা ছাড়াই আকস্মিকভাবে তারা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। গত মঙ্গলবার ইরান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ঢুকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে দুই শিশু নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।

ইরান দাবি করেছে, তারা শুধু পাকিস্তানের মাটিতে ইরানি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

কিন্তু অযাচিতভাবে প্রতিবেশীর অন্দরে প্রবেশই শুধু নয়, রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়াটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখছে না পাকিস্তান। এই হামলাকে 'আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চেতনা বিরোধী' বলে অভিহিত করেছে।

ইরানের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের শক্ত ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। ইরানে এই গোষ্ঠীটি জইশ আল-ধুলম বা আর্মি অব জাস্টিস নামে পরিচিত।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের উভয় দিকেই তৎপর। এর আগে তারা ইরানে হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ইরানের সিস্তান ও বেলুচেস্তান প্রদেশের স্বাধীনতা।

মুসলিমদের দুই প্রধান বিবদমান ধর্মীয় শাখা হলো, শিয়া ও সুন্নি। এর মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি সুন্নি। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর ইরান ও তার মিত্র গোষ্ঠীগুলো মূলত শিয়া।

প্রথম ঘটনার দুই দিন পর সিস্তান ও বেলুচেস্তানের বেশ কয়েকটি কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী আস্তানায় পাল্টা সিরিজ হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানও দাবি করছে, ‘অত্যন্ত সমন্বিত এবং নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে’ ছিল এই হামলা।

বৃহস্পতিবার হামলায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ইরান বলেছে, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন নারী ও চারটি শিশু।

এসব ঘটনায় দুই দেশই পরস্পরের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে। পাকিস্তান বলেছে, বছরের পর বছর ধরে তারা অভিযোগ করে আসছে যে, ইরানে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের 'নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং অভয়ারণ্য' রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে।

কিন্তু এই সময়েই কেন?

সীমান্তের দুপাশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও ইরানের লড়াই নতুন নয়। সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত হয়ে উঠেছে। গত মাসে ইরানের সিস্তান ও বেলুচেস্তানে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার জন্য জইশ আল-আদল জঙ্গিদের দায়ী করা হয়। এতে ১১ জন ইরানি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানেও সন্ত্রাসী হামলা বিরল নয়।

কিন্তু না জানিয়ে অপরের সীমান্তের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ইচ্ছা প্রকাশ খুবই অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন ঘটনা। তাহলে হঠাৎ করেই ইরান এমন কাণ্ড কেন ঘটিয়ে বসল? শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তেহরান কেন মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এখানে টেনে আনল?

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ সবই ঘটছে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণের পটভূমিতে। সেই প্রতিক্রিয়ার ঢেউ এসে আঘাত হানছে এ অঞ্চলেও।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত ইরানকে তার সীমানার বাইরে লক্ষ্যবস্তুর দিকে নজর দিতে আরও সক্রিয় হতে উৎসাহিত করতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যখন উচ্চাভিলাসী ইরানের পদক্ষেপগুলো রোধ করার জন্য শত্রুতা হ্রাস এবং সামরিক শক্তি প্রদর্শনে নমনীয়তা- এই নীতির পথে হাঁটছে, তখন তেহরান সুযোগ হাতছাড়া নাও করতে পারে।

পাকিস্তানে হামলার আগের দিন, ইরান ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এবং ইরান-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা করেছে বলে দাবি করেছে ইরান।।

এদিকে, লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী গ্রুপ হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। হুতিরা গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে লোহিত সাগরে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা করে যাচ্ছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্য জাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথভাবে ইয়েমেনে হুতিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্য চলমান উত্তেজনায় জ্বালানি ঢেলেছে।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো করিম সাদজাদপুর বলেন, ‘যদি আপনি ইরান এবং এর প্রক্সিদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ান ... তাহলে কোনো মূল্য না চুকিয়ে নির্বিবাদেই তারা এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’

এই গবেষক আরও যোগ করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাবশালী অবস্থানের অর্থ হলো, ইয়েমেন এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে সংঘাতের সুযোগে এটি আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এবং 'ক্ষমতার শূন্যতা' থেকে লাভবান হবে। ইরানের কার্যক্রম এখন বেশ কয়েকটি প্রধান লক্ষ্যকে সামনে রেখে চলছে- এর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের ক্ষমতায়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিহত করা।

অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন আর্মি জেনারেল ও সাবেক ন্যাটো কমান্ডার ওয়েসলি ক্লার্ক বলেন, বিভিন্ন সংঘাত ও শত্রুতা মূলত এই অঞ্চলের নেতা হিসেবে নিজের ভূমিকাকে শক্তিশালী করার ইরানি প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।

তিনি বলেন, ইরান আঞ্চলিক আধিপত্য চায়। যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সেখানে আছে এবং ইসরায়েল (প্রতিবেশী দেশগুলোতেও) হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, তখন ইরান পাল্টা আঘাত করা এবং নিজেকে জাহির করার প্রয়োজন অনুভব করছে।

সীমান্ত সংঘাতের নেপথ্যে

পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে বালুচ জনগণের বাস। দীর্ঘকাল ধরেই তারা ইসলামাবাদ ও তেহরানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে আসছে। স্বাধীনতার দাবিতে দশকের পর দশক ধরে সাধারণ সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে বিদ্রোহ চলছে।

সংঘাতপূর্ণ এলাকাটি প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ। বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভিযোগ, এতো সম্পদ থাকার পরও সবচেয়ে দরিদ্র এই অঞ্চলের মানুষ। সরকারগুলো দিনের পর দিন তাদের শোষণ করে যাচ্ছে।

বেলুচিস্তান আয়তনের হিসাবে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদ একচেটিয়া ভোগ দখল ও শোষণ করে যাচ্ছে ইসলামাবাদ- এমন অভিযোগ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।

ইরানও তার কুর্দি, আরব এবং বেলুচ সংখ্যালঘুদের নিয়ে শান্তিতে নেই। এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর বিদ্রোহের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

জইশ আল-আদল ইরানের অভ্যন্তরে সক্রিয় অনেকগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে একটি। এটি মূলত জানদাল্লাহ নামক একটি বৃহত্তর সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীর অংশ, ২০১০ সালে ইরান তাদের নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর জানদাল্লাহ ভেঙে যায়। জইশ আল-আদল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।

ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের মতে, এই গোষ্ঠী প্রায়ই ইরানের নিরাপত্তা কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা এবং শিয়া বেসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে হামলা করে। ২০১৫ ও ২০১৯ সালে দুটি বৃহৎ হামলার একটি ঘটে সিস্তান-বেলুচেস্তানে। দুই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। দুই হামলারই দায় স্বীকার করেছে জইশ আল-আদল।

গত বুধবার পাকিস্তানে ইরানের হামলার পরদিনও জইশ আল-আদল সিস্তান ও বেলুচেস্তানে ইরানের সামরিক গাড়িতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

ঘটনা কোন দিকে গড়াচ্ছে?

পাল্টা পাল্টি হামলায় এরই মধ্যে ইরান ও পাকিস্তানে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান। উচ্চ পর্যায়ের সফর স্থগিত। ইরান পাকিস্তানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে।

এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত বলছে, এটি ইরান ও পাকিস্তানের বিষয়। চীন বলছে সংযত হতে।

গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যেন পূর্ণ মাত্রায় সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য কাজ করছে ওয়াশিংটন।

পাকিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি, ইরান গত কয়েকদিনে তিনটি প্রতিবেশীর সার্বভৌম সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে।’

দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্র পাকিস্তান ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে মিলার বলেন, 'আমরা আশা করি, এটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যাবে।'

তবে পরদিনই ইরানের মাটিতে সিরিজ হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে স্পষ্ট যে, ইসলামাবাদ কেবল কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার চেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যাইহোক, সীমান্তে ইরান ও পাকিস্তানের সমস্যা একই। ফলে একটি সাধারণ শত্রুকে শায়েস্তা করতে নেমে নিজেরাই সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা কম।

উভয় পক্ষই নিজ নিজ হামলার পর বিবৃতি দিয়ে নিজেদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে ‘সম্মিলিত সমাধান খুঁজে বের করার’ আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। তার

 মানে, পরিস্থিতি আরও জটিলতার দিকে এগোবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই